আপনার জন্য ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন ?


ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা খুব অল্প কথায় শেষ করা বেসম্ভব। তবুও স্বল্প কথায় অল্প শব্দের ব্যবহারে জানানোর চেষ্টা করবো কেন আপনার জন্য একটি ওয়েবসাইট খুবই প্রয়োজন।

ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন তা জানার আগে আসুন ইকটু জেনে নেই, ওয়েবসাইট জিনিসটা আসলে কি?
- ওয়েবসাইট হলো কোন ওয়েব সার্ভারে রাখা কতকগুলো ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টি যা আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসের মাধ্যমে এক্সেস করে দেখতে পারি।

যতই দিন যাচ্ছে প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহার ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে । তাই বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগের পাশাপাশি, ব্যবসায়িক কাজের জন্যও ওয়েবসাইটের ব্যবহার দিনকে দিন বেড়েই চলেছে । এবার আসুন জেনে নেই ওয়েবসাইট কত প্রকারের হতে পারে?

১. স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট
২. ডাইনামিক ওয়েবসাইট
৩. লোকাল ওয়েবসাইট
৪. রিমোট ওয়েবসাইট
৫. আর্কাইভ সাইট
৬. ই-কমার্স সাইট
৭. নিউজ সাইট
৮. ব্লগ সাইট
৯. ডাউনলোড সাইট
১০. পোর্টফোলিও সাইট
১১. বুকিং সাইট
এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরণের সাইট হতে পারে।

মোটামুটি ওয়েবসাইট সম্পর্কে কিছুটা আইডিয়া দেয়া গেছে বলে আত্মবিশ্বাস অনুভব করছি। সুতরাং এবার সরাসরি চলে আসি আমাদের কেন ওয়েবসাইট প্রয়োজন –

১/ বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধিঃ
আপনার ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের একটি ওয়েবসাইট থাকা মানে নিজেদের সম্পর্কে একটি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি করা। ওয়েবসাইট আপনার ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। অধিকাংশ অনলাইন এক্সপার্ট ওয়েবসাইটের অস্তিত্ব থাকাকে বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম বলে ধারণা করে থাকে। প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ের অনলাইন উপস্থিতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন মাধ্যম হচ্ছে ওয়েবসাইট। কেউ যখন আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানতে চায় তখন আপনার ওয়েবসাইটেই প্রথমে রিসার্চ করে থাকে। আপনি কতটা ভালো সার্ভিস দিতে পারবেন বা আপনি কতটা প্রফেশনাল তা আপনার ওয়েবসাইট থেকেই সহজে অনুভব করা যায়।

২/ উৎপাদন ও সৃজনশীলতা প্রদর্শনঃ
আপনার ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান কতটুকু কাজের ক্ষেত্রে পারদর্শী তা এক ঝলকে দেখার অন্যতম মাধ্যম আপনার ওয়েবসাইট। আপনার ওয়েবসাইটে যতটা সৃজনশীলতা প্রদর্শন করতে পারবেন তত বেশি আপনার উদ্দেশ্য পূরন হবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আপনার ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের কাজের অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা ও সৃজনশীলতাকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব।

৩/ নিজস্ব ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করাঃ
নিজস্ব ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠায় ওয়েবসাইটের কোনো জুড়ি নেই। ব্র্যান্ডেড প্রতিষ্ঠান বা পার্সনদের খুঁজে পাওয়ার বা তার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধ মাধ্যম ওয়েবসাইট। সেলফ ব্র্যান্ডিং করতেও ওয়েবসাইটের বিকল্প খুবই কম। নিজের সম্পর্কে মুখে তো আর ঢাকঢোল পেটানো যায় না তাই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজেকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে প্রচার করা সহজ। বড় বড় কর্পোরেশন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ব্যবসায়িক লেনদেনের ও পরিচিতি লাভের জন্য ওয়েবসাইটকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

৪/ মার্কেটপ্লেস তৈরিঃ
আপনার পন্য বা সেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য, ছবি ইত্যাদি প্রদর্শনের ভার্চুয়াল মাধ্যম হচ্ছে ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পন্য বা সেবা সম্পর্কে ভিজিটরদের স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারবেন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্ট গুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরি এবং সাব-ক্যাটাগরিতে সুবিন্যস্তভাবে সাজাতে পারবেন। একজন ক্রেতা আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করে তার বাজেট এবং পছন্দ মত প্রোডাক্টগুলো খুব সহজেই খুঁজে নিতে পারে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা হবে সম্পূর্ণ অটোমেটেড। একজন ক্রেতা প্রোডাক্ট দেখা, ক্রয় করা, পেমেন্ট সম্পন্ন করা এবং একজন বিক্রেতার প্রোডাক্ট স্টক ম্যানেজ করা, বিক্রিত প্রোডাক্টগুলোর হিসাব নিকাশ ইত্যাদি যাবতীয় কাজ গুলো হবে অটোমেটেড।

৫/ তথ্য বিনিময়ঃ
ইন্টারনেটের বাধাহীন দুনিয়ায় আমরা সবাই গ্লোবাল ভিলেজের বাসিন্দা। ইন্টারনেটের যেহেতু কোনো সীমানা কিংবা কাঁটাতারের বেড়া নেই, নেই পাসপোর্ট ভিসার জটিলতা তাই খুব সহজেই যেকোনো তথ্য সহজেই আদান প্রদানের একটি বিশ্বস্থ মাধ্যম হতে পারে ওয়েবসাইট। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে পারেন ফলে অন্যরাও আপনার তথ্যের মাধ্যমে উপকৃত হলো আবার আপনিও একইভাবে নিজের অনলাইনের উপস্থিতির মাধ্যমে নিজেকে উপকৃত করতে পারলেন। অবাধ তথ্য প্রযুক্তির এই দুনিয়ায় আপনি কোথায় আছেন সেটা কোনো গুরুত্বপুর্ন ইস্যু নয়। এর প্রত্যক্ষ কারন আপনার সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট।

এছাড়াও আরো অনেক কাজে নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকা জরুরি। আজকাল অনেকেই সেলফ ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও কাজ পাচ্ছে আবার অনেকেই করছেন বৈদেশিক বাণিজ্য। একটি ওয়েবসাইট থাকা মানে নিজেকে বা নিজ প্রতিষ্ঠানকে অনেক ক্ষেত্রে কয়েক ধাপ এগিয়ে রাখা।

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বাজেটের মধ্যে প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ভিজিট করুনঃ